ব্রাজিলে প্রথম টিকা নিলেন ৫৪ বছর বয়সী নার্স
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসা রোববার জরুরি অনুমোদনের জন্য দু'টি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের ভ্যাকসিন এবং অন্যটি হলো ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন।
দুই ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার পর পরই দেশজুড়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মোনিকা ক্যালাজেন্স নামে ৫৪ বছর বয়সী এক নার্স প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। সাও পাওলোর এই বাসিন্দা চীনের ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক গ্রহণ করেছেন।
ব্রাজিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দেশজুড়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত এবং তৃতীয় ব্রাজিল। তবে মৃত্যুতে ভারতের চেয়ে ব্রাজিল এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের আগেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ব্রাজিলও।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ৯ হাজার ৮৬৮ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৪ লাখ ১১ হাজার ৬৫৪ জন।
ব্রাজিলের ২৭ রাজ্যে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো নিজে ভ্যাকসিন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফলে তাকে নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।
ব্রাজিলে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই বোলসোনারো প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা, দেশজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ না করা এবং সামাজিক দূরত্বের বেশি কঠোর হয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্রাজিলে অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এমনকি ভ্যাকসিনের বিষয়েও ইতিবাচক নন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। এদিকে, ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দেওয়ায় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকের প্রশংসা করেছেন সাও পাওলোর গভর্নর জোয়াও দোরিয়া। তিনি বলেন, এটা বিজ্ঞানের বড় সাফল্য, মানুষের জন্য সাফল্য এবং ব্রাজিলের জন্যও বড় সাফল্য।
টিটিএন/এমএস