জাপানের জন্য ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বানাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
অডিও শুনুন
জাপানের জন্য করোনাভাইরাসের ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বানাবে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। জাপানের এক উচ্চপদস্থ সরকারি মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। দেরি করে শুরু করা ভ্যাকসিন কার্যক্রমে জাপান ভ্যাকসিনের যথেষ্ট পরিমাণ ডোজ নিশ্চিত করতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ার মধ্যে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিল। খবর রয়টার্সের।
জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাৎসুনোবু কাতো জানান, জাপানেই এই ভ্যাকসিন বানানো হবে বলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিশ্চয়তা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কাতো বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন স্থানীয়ভাবে তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।’
সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করেছে জাপান। বিদেশি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীলতা ও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থানীয় পর্যায়ে হওয়ার আবশ্যিকতার কারণে ভ্যাকসিন কর্মসূচী শুরু করতে দীর্ঘ অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে জাপান।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ১২ কোটি ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা করেছে দেশটি। এর মধ্যে ৯ কোটি ডোজ জাপানেই তৈরি হবে এবং বাকি ডোজ আমদানি করা হবে বলে গতকাল জানিয়েছে দেশটির সর্ববৃহৎ পত্রিকা নিক্কেই।
গত গ্রীষ্মে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জাপানে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করে, যার নাম ছিল এজেডডি১২২২। ভ্যাকসিন তৈরি ও বিতরণের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা তখন জাপানের ডাইচি স্যাংকিও, জেসিআর ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছিল।
ফাইজারের আগে স্থানীয় ট্রায়াল শুরু করলেও জাপানে এখনো অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি। এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
আগামী জুলাইতে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য সামার অলিম্পিককে সামনে রেখে বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের যে পরিকল্পনা জাপান করেছে, তা দীর্ঘ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার কারণে সফল করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমকে/এমকেএইচ