দক্ষিণ আফ্রিকায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ‘হতাশাজনক’ ফলাফল পাওয়ায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ট্রায়ালে দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল এবং ফলাফলে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাসের মৃদু ও মধ্যম সংক্রমণের বিরুদ্ধে সামান্য সুরক্ষা দেয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ৯০ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী নতুন ধরনটি।
দেশটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ভ্যাকসিন কিনেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এগুলো প্রয়োগ করার কথা ছিল।
এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুয়েলি এমখিজে বলেন, এই ফলাফলের আলোকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে সে সম্পর্কে সরকার আরও পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করবে। ট্রায়ালটি ইউনিভার্সিটি অফ দ্য উইটওয়াটার্সর্যান্ড দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এখন পর্যন্ত ফলাফল পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সামনের সপ্তাহগুলোতে সরকার জনসন অ্যান্ড জনসন ও ফাইজারের ভ্যাকসিন দেবে।
ট্রায়ালটির নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক শাবির মাধি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন মৃদু ও মধ্যম অসুস্থতার বিরুদ্ধে কাজ করে না।’
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনটি গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর কিনা তা অনুসন্ধান করা সম্ভব নয়। কারণ ট্রায়ালে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের বয়স ৩১ বছরের মধ্যে এবং এরা ভাইরাসের গুরুতর লক্ষণের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীদের প্রতিনিধিত্ব করে না।
তবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রধান গবেষক অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, ভাইরাসটি এরপরও গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে কাজ করবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরাসটির ধরনের বিরুদ্ধে গবেষকদের ভ্যাকসিনের নতুন একটি পরিবর্তিত ভার্সন তৈরির কথা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজন হলে কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে ভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ভ্যাকসিন নতুন করে ডিজাইন করা যায়।
এর আগে মডার্না জানিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে তাদের ভ্যাকসিন কার্যকর। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল ব্রিটেনে পাওয়া নতুন ধরনের বিরুদ্ধে তাদের ভ্যাকসিন কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
এমকে/জেআইএম