করোনাকে হার মানালেন ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক নারী
করোনাকে হার মানিয়েছেন ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক নারী। আর কয়েকদিন পরেই তার ১১৭তম জন্মদিন। তিনি ফ্রান্সের একটি গির্জার নান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবা করে আসছেন।
লুসিল রেনডন ১৯৪৪ সালে সিস্টার অ্যান্ড্রি হিসেবে নাম লেখান। গত ১৬ জানুয়ারি তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। যদিও তার দেহে করোনার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই নারী বলেন, আমিতো বুঝতেই পারিনি যে আমার করোনা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রান্সের তুলোন এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তিনি। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি সেখানকার অন্যান্য লোকজনের কাছ থেকে আইসোলেশনে থাকতে শুরু করেন।
বর্তমানে করোনা থেকে পুরোপুরি সুস্থ আছেন সিস্টার অ্যান্ড্রি। কিন্তু আগে থেকেই তিনি চোখে দেখতে পাননা। এমনকি একা একা চলাফেরাও করতে পারেন না। বেশিরভাগ সময় তার হুইলচেয়ারেই কাটে। আগামী বৃহস্পতিবার তার ১১৭তম জন্মদিন। বৃদ্ধাশ্রমের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গেই তার এবারের জন্মদিন কাটবে।
সেন্ট ক্যাথেরিন লেবার বৃদ্ধাশ্রমের মুখপাত্র ডেভিড টাভেলা সিস্টার অ্যান্ড্রির সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি খুবই সৌভাগ্যবান।’ তিনি ভার মাটিন পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি মোটেও ভয় পাননি। একই সঙ্গে তিনি বৃদ্ধাশ্রমের অন্যান্য বাসিন্দাদের নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন।’
১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সিস্টার অ্যান্ড্রে। জেরনটোলজি রিসার্চ গ্রুপ (জিআরজি) ওয়ার্ল্ড সুপারসেন্টারিয়ান র্যাংকিং লিস্ট অনুযায়ী, ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হওয়া ছাড়াও তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বয়স্ক নারীর খেতাব পেয়েছেন।
ফ্রান্সের প্রচারমাধ্যম বিএফএম তার কাছে জানতে চেয়েছিল যে, তিনি করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হয়েছিলেন কীনা। তিনি এর উত্তরে বলেন, ‘না আমি ভয় পাইনি, কারণ আমি মৃত্যুকে ভয় করি না।’ তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে আনন্দিত। তবে আমি আসলে অন্য কোথাও থাকতে চাই, যেখানে আমার বড় ভাই এবং আমার দাদা-দাদি আছেন।’
টিটিএন/জেআইএম