জার্মানিতে প্রবীণদের জন্যও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুমোদন
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। খবর বিবিসির।
এর আগে জার্মানি শুধুমাত্র ৬৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছিল। এর ফলে দেশটির কিছু লোকের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। অনেক ভ্যাকসিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তবে বুধবার মেরকেল বলেন, নতুন গবেষণায় যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য প্রদান করা হয়েছে যে, এই ভ্যাকসিনটি সকল বয়সের মানুষের জন্যই কার্যকর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রবীণদের ওপর উচ্চমাত্রায় কার্যকর।
গত সোমবার ফ্রান্স প্রবীণদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়। এরপর বেলজিয়ামও জানায় তারা এই অনুমোদন দেবে।
জার্মানির পাঁচ শতাংশ জনগণ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।
মেরকেল আরও জানান, ব্রিটেনের মতো জার্মানিও ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ প্রয়োগের মধ্যকার সময় আরও বাড়াবে যেন প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিকিৎসা নিয়ন্ত্রক গত জানুয়ারিতে সকল বয়সের মানুষের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়।
কিন্তু ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ইতালির মতো দেশগুলো অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের প্রয়োগ না করতে পরামর্শ দেয়। জার্মানির মতো তারাও জানায়, প্রবীণদের ওপর ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতার পক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য নেই। এর ফলে এসব দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনটি নেয়ার ক্ষেত্রে সংশয় তৈরি হয়।
গত জানুয়ারিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে প্রবীণদের জন্য ‘আংশিক কার্যকর’ বলে উল্লেখ করেন।
ভ্যাকসিনের সরবারহ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিবাদ তৈরি হওয়ার মধ্যেই কার্যকারিতা নিয়ে এই বিতর্ক তৈরি হয়।
এরপর থেকে ইউরোপের কয়েকটি দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর ফলে এসব দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমেও ধীর গতি তৈরি হয়েছে।
এমকে/এএসএম