জার্মানিতে করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’
জার্মানিতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশটিতে এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহেই দেশটিতে একদিনে ২৪ হাজার ৩৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর ফলে, সেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজার ৪০০ বেড়ে গেছে।
এছাড়া, সংক্রমণের হারও প্রতি লাখে ৬৫ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে ৬৯ দশমিক ১-এ দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা রবার্ট কশ ইনস্টিটিউটের পরিচালক লোটার ভিলার বলেন, আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে, জার্মানিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫১০ জন। মারা গেছেন অন্তত ৭৩ হাজার ৫৬০ জন।
দেশটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেণ গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়লেও মার্চ-এপ্রিলে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এটি ছিল সেখানে করোনার প্রথম ঢেউ।
এরপর মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল জার্মান সরকার। তবে অক্টোবর থেকে রীতিমতো সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটে দেশটিতে। ডিসেম্বরে একদিনে ৩১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয় সেখানে। এরপর নতুন বছরের শুরুতে আবারও কমতে থাকে সংক্রমণের হার। এটি ছিল দ্বিতীয় ঢেউ।
এরপর সপ্তাহখানেক ধরে জার্মানিতে আবারও করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। অবশ্য শুধু সেখানেই নয়, সংক্রমণ বাড়ছে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে।
সংক্রমণ রোধে আবারও কঠোর লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। বেলারুশে কয়েকজনের শরীরে পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনার নতুন ধরন।
আর ডেনমার্ক রয়েছে অন্য সংকটে। সেখানে অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পর কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধেছে। একারণে আপাতত অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ রেখেছে তারা।
কেএএ/এএসএম