অক্সিজেন সঙ্কটে বিপর্যস্ত ব্রাজিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২১

ব্রাজিলে নতুন করে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছেই। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ১৭৯। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৭ জন। তবে দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬৪৬ জন।

দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৬। এছাড়া আাশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৩১৮ জন। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া প্রায় এক সপ্তাহে ৫ লাখের বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অক্সিজেন সঙ্কট, অপর্যাপ্ত ওষুধ এবং হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

দেশটির ২৬টি রাজ্যের প্রায় প্রতিটিতে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বিছানা এবং ওষুধের অভাবে হাসপাতালের মেঝেতেই অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া অক্সিজেনের অভাবেও বহু রোগী প্রাণ হারাচ্ছে।

গত শুক্রবার রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের চাম্পো বোম শহরের লরো রিয়াস হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়ায় ৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল। রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারায় অনেক চিকিৎসক কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৬৪। এছাড়া একদিনেই মারা গেছে আরও ২ হাজার ২৪৪ জন।

সোমবার সাও পাওলো শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের আইসিউ বেডের ৮৯ শতাংশের বেশি রোগী দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে। ওই রাজ্যে সোমবার একদিনেই ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মহামারি শুরুর পর এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ১০ শতাংশই ব্রাজিলে। এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান দ্বিতীয়।

টিটিএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।