‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভবত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দরকার হবে না’
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন পেলেও, এটি সম্ভবত দেশটির নেয়ার দরকার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি। খবর রয়টার্সের।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেক্টাস ডিজিসেস-এর পরিচালক ও হোয়াইট হাউসের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ফাউসি বলেন, অন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে চুক্তি রয়েছে তা দেশের সকল মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এমনকি শরৎকালে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার মতো যথেষ্ট ভ্যাকসিনও রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যাপক উচ্চাশা তৈরি হয়। কিন্তু ভ্যাকসিনটি বাজারে আসার পর এটি বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো দেশে ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পেলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন এখনও পায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফাউসি বলেন, ‘এটি এখনো অনিশ্চিত। আমার সাধারণ ধারণা হলো, যেসব কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি তাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে বাদ দিয়েই আমাদের ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এমন অভিযোগে মার্চে অনেকগুলো দেশ ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ স্থগিত রাখে। এরপর ধীরে ধীরে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় দেশগুলো। তবে দু’দিন আগে একই অভিযোগে কানাডা ও জার্মানি যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিত করেছে।
মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা অসম্পূর্ণ চিত্র দিয়েছে। তবে এর কিছুদিন পরে অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে ভ্যাকসিনের শক্তিশালী কার্যকারিতা দেখা যায়।
ফাউসি বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিনের যে ডোজ নেব তার সংখ্যা যদি আপনি দেখেন, তাতে জে অ্যান্ড জে, নোভাভ্যাক্স, মডার্নার কাছ থেকে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, মনে হচ্ছে যত ভ্যাকসিন ডোজ দরকার হোক আমরা তা ব্যবস্থা করতে পারব। তবে এটা আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই।’
এমকে/জেআইএম