কুড়ানো মাস্কে গদি-তোশক, ‘ঝুঁকি’ ঢুকছে বেডরুমে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১

আরামদায়ক গদি ও বিছানার তোশক তৈরিতে বহু বছর ধরেই তুলা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খরচ বাঁচাতে রাস্তা ও ময়লার ভাগাড় থেকে কুড়িয়ে নেয়া মাস্ক দিয়ে তৈরি করছেন সেগুলো। এর ফলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি এমনই একটি অসাধু চক্রের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের জলগাঁও এলাকার একটি কারখানায় জঞ্জাল থেকে তুলে আনা মাস্ক দিয়ে তৈরি হচ্ছিল গদি, পাপোস ও বিছানার তোষক।

খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রের সন্ধানে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিক আমজাদ আলি মনসুরিকে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দ্রকান্ত গাওয়ালি বলেন, খবর পেয়ে আমরা কুসুম্বা গ্রামে গিয়ে দেখি নোংরা স্তূপ আকারে ফেলে রাখা হয়েছে ব্যবহৃত মাস্ক। সেগুলো গদির ভেতরেও দেয়া হচ্ছে।

সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় করোনাবিধি মেনে তখনই মাস্কের স্তূপে আগুন জ্বালিয়ে দেয় পুলিশ।

কারখানা মালিক আমজাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে মাস্কের চাহিদাও। দিনে দেড় কোটি ইউনিট মাস্ক তৈরি হচ্ছে দেশটিতে। এই বিপুল পরিমাণ মাস্ক ব্যবহারের পর তা জমা হচ্ছে বর্জ্য হিসেবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্যমতে, শুধু ২০২০ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশটিতে মেডিক্যাল বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার টন।

সূত্র: জি নিউজ

কেএএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।