মেক্সিকো-পোল্যান্ডে পাওয়া ভ্যাকসিনগুলো নকল, নিশ্চিত করল ফাইজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ফাইজার জানিয়েছে, মেক্সিকো ও পোল্যান্ডে ফাইজারের যে ভ্যাকসিন উদ্ধার করা হয়েছিল তা নকল। খবর বিবিসির।

দুটি দেশেই ফাইজারের এই ডোজগুলো জব্দ করা হয়েছিল। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল যে এগুলো নকল ভ্যাকসিন।

মেক্সিকোতে ভ্যাকসিনের শিশিগুলোতে নকল লেবেল লাগানো ছিল। আর পোল্যান্ডে পাওয়া নকল ভ্যাকসিনগুলো ছিল বলিরেখার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নকল ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্যে গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। নকল ভ্যাকসিন চিহ্নিত করে এর বিতরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, অফিসিয়ালভাবে বিতরণ করা ভ্যাকসিনের মধ্যে নকল ডোজ থাকার ঝুঁকি ‘কার্যত অস্তিত্বহীন’।

গত ফেব্রুয়ারিতে ৮০ জন ব্যক্তিকে নকল ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে সন্দেহে ছয় প্রতারককে আটক করে মেক্সিকোর পুলিশ। এই ব্যক্তিরা ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য এক হাজার ডলার করে দিয়েছিলেন ওই প্রতাকরদের। তাদেরকে ভ্যাকসিনের নামে ডিস্টিল্ড ওয়াটার দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্য সচিব।

মেক্সিকো সরকারের করোনাভাইরাস বিষয়ক মুখপাত্র লোপেজ গ্যাটেল বলেছেন, সাইবার পুলিশ নকল ভ্যাকসিনের খোঁজ পায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারকরা প্রতি শট ভ্যাকসিনের জন্য আড়াই হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছিলেন।

পোল্যান্ডে নকল ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়া গিয়েছিল এক ব্যক্তির অ্যাপার্টমেন্টে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নকল ভ্যাকসিন কারোর ওপর প্রয়োগ করা হয়নি।

ফাইজারের বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান লেভ কুবিয়াক বলেছেন, ভ্যাকসিন সরবরাহে ঘাটতি ও বৈশ্বিক চাহিদার কারণে নকল ভ্যাকসিন বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরবরাহ খুবই সীমিত। উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেলে এবং অন্য কোম্পানিগুলো শূন্যস্থান পূরণ করার মাধ্যমে সরবরাহ বাড়বে। এই সময়ের মধ্যে অপরাধীদের প্রকৃত সুযোগ রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এবিসি নিউজকে বলেছে, তারা মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের নকল ভ্যাকসিনের ব্যাপারে অবগত এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও ফাইজারকে তারা ‘প্রয়োজনমাফিক’ সহযোগিতা করবে।

এমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।