টিকার ২ ডোজ নিলেই যুক্তরাষ্ট্রে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনো যাবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০২১

করোনা রুখতে মাস্ক পরা জরুরি, বিশ্বব্যাপী এমন সতর্কবার্তার মাঝেই এবার যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের উল্টো নির্দেশনা দিল দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই নির্দেশনা মতে, আমেরিকায় যাদের করোনা টিকার দুটি ডোজই নেয়া শেষ হয়েছে তারা মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হতে পারবেন। তবে বড় ধরনের জমায়েতের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা বলবৎ হবে না। খবর : সিএনবিসি।

করোনার আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।

ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যারা ফাইজার বা মর্ডানার দুটি ডোজ অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের একটি ডোজও নেননি, তাদের রেস্তোরাঁ বা কোনো জমায়েতে এখনো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর যারা টিকার দুটি ডোজই শেষ করেছেন তারা ছোট জমায়েতে মাস্ক ছাড়াই যেতে পারবেন। তবে কনসার্ট বা খেলাধুলার প্রতিযোগিতার মতো বড় জমায়েতে সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে।

মূলত করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ফের স্বাভাবিক করতেই এই নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সিডিসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাদের একাংশ।

বার্মিংহামের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞ মাইক স্যাগ বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ফের আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারব। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তবুও সেদিকে এগোনোর একটা প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’

সিডিসির এই নির্দেশিকার পেছনে আরও একটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অর্ধেক মানুষেরই করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ নেয়া হয়ে গেছে। পাশাপাশি, এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষের দুই ডোজই শেষ হয়েছে। আর টিকার ডোজ শেষ করলে মাস্ক ছাড়াই বাইরে যাওয়া যাবে এমন নির্দেশনার ফলে আরও মানুষ টিকা নিতে উৎসাহ বোধ করবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

এমআরআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।