দিল্লিকে দিনে ৭০০ মেট্রিকটন অক্সিজেন দিতে হবে, নির্দেশ আদালতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ০৭ মে ২০২১

দিল্লিকে প্রতিদিন অবশ্যই ৭০০ মেট্রিকটন করে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। শুক্রবার (৭ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এ নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্সিজেনের জোগান নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দিল্লি সরকারের বেশকিছু দিন ধরেই আইনি টানাপোড়েন চলছিল। শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন দিল্লি সরকারের পক্ষেই রায় দেয় আদালত।

বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘৭০০ মেট্রিক টন বলছি মানে ৭০০ মেট্রিক টনই লাগবে। প্রতিদিন দিল্লিকে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য করবেন না।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ধুঁকছে রাজধানী। সেখানে প্রতিদিন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। দৈনিক মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে ৩শর আশপাশে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন ঘাটতির অভিযোগ উঠে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মধ্যে আইনি টানাপড়েন চলছে। সেই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার দিল্লির পক্ষে রায় দিল আদালত।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লির চাহিদা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এই হিসাব-নিকাশ করতে সময় লাগবে। ততদিন অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তাই আপাতত দিল্লিকে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন করে অক্সিজেন দিতে হবে। সব হিসাব-নিকাশ খতিয়ে দেখে আদালত পরবর্তী রায় না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভারতে আবারও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে। এ দিন ভারতে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ২ হাজার বেশি। আর এই সময়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯১৫ জন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, ভারতে এ নিয়ে টানা ১০ দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজারের বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬ জন। আর মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪০ জন।

এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।