সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু সামান্য কমেছে ভারতে
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার ২০৮। একই সময়ে মারা গেছে ২ হাজার ৩৩০ জন।
একদিন আগেই দেশটিতে নতুন সংক্রমণ ছিল ৬২ হাজার ২২৪ এবং একই সময়ে মারা গেছে ২ হাজার ৫৪২। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য কমেছে ভারতে। বর্তমানে দেশটিতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৮ লাখ ২৬ হাজার ৭৪০ জন।
অপরদিকে, দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। একদিনে করেনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ০৩ হাজার ৫৭০ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৮৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ জন। সুস্থতার হার বেড়েছে ৯৫.২৬ শতাংশ। দেশে মোট ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ১৯ হাজার ২৫১ জন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৭ হাজার ৩১৩। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯০৩ জন। গত কয়েকদিনে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। টানা ১০ দিন ধরেই দেশটিতে সক্রিয় রোগী ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৭০, তামিলনাড়ুতে ১০ হাজার ৪৪৮, মহারাষ্ট্রে ১০ হাজার ১০৭ এবং কর্নাটকে ৭ হাজার ৩৪৫।
এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯ হাজার ৪৪১ জন। আর একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৩ জন।
সব মিলিয়ে বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৫ জনে। আর মোট শনাক্ত রোগী হলেন ১৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭ হাজার ৩৯৬ জনে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৯১৯ জনে। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যু উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। যদিও গত কয়েকদিনে সংক্রমণের হার কিছুটা কমতে দেখা গেছে।
টিটিএন/এএসএম/এমএস