করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ০৮ জুলাই ২০২১

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের টালমাটাল অবস্থা কিছুটা সামলে উঠেছে ভারত। এরই মধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিগগিরই আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ। ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় ঢেউয়ে অধিক সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর জোর প্রস্তুতি চলছে। সতর্ক বেসরকারি হাসপাতালগুলোও। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়ানো এবং কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়লে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখছে সব হাসপাতালই। শিশুদের চিকিৎসা দিতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্সের ঘাটতি মেটাতে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মেডিকা হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এমডি চিকিৎসক আলোক রায় বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ চলছে। এ ছাড়াও গুরুতর অসুস্থ শিশুদের জন্য ২৫টি ভেন্টিলেটর এবং ১৫টি বাইপ্যাপও কেনা হয়েছে।’

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় অগস্ট মাসের মধ্যে করোনা মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে আমরি হাসপাতাল। মুকুন্দপুর এবং সল্টলেক আমরি হাসপাতালের একটি করে তল শিশু চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে ৩০টি বেড রয়েছে শিশু চিকিৎসায়। হাসপাতালটির সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এবং শিশুদের চিকিৎসায় প্রস্তুত আমরা। আমরির সব ইউনিটকেই শিশুদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটর, হিউমিডিফায়ার রয়েছে। প্রয়োজনে বড়দের ভেন্টিলেটর যাতে শিশুদের ব্যবহারযোগ্য করা যায় তার জন্য ভেন্টিলেটর নির্মাতাদের সঙ্গে কথা চলছে।’

শিশু চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ জানান, শিশুদের কথা মাথায় রেখে ল্যাবরেটারি পরিকাঠামোয় নজর দিয়েছে পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ।

আইএলএস হাসপাতালের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট দেবাশিষ ধর বলেন, ‘জরুরি বিভাগ থেকে ইনডোর পরিষেবা প্রতিটি ধাপেই শিশুদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিশুদের জন্য কোভিড এবং নন কোভিড ওয়ার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসকসহ একাধিক বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। পাশাপাশি শিশুদের করোনা চিকিৎসায় বেড থেকে ভেন্টিলেটর কেনার জন্য ডিলারদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’

বড়দের চেয়ে শিশুদের বিভিন্ন শারীরিক মাত্রা আলাদা। ওষুধের ক্ষেত্রেও শিশুর ওজন অনুযায়ী ভিন্নতা রয়েছে। শিশু চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্সদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। শিশু বিভাগ ছাড়াও হাসপাতালের অন্য বিভাগের নার্স এবং জুনিয়র চিকিৎসকদেরও যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় সেজন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানান ফর্টিস হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক সুমিতা সাহা।

এসএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।