করোনার বুস্টার ডোজ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য: রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেয়া নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এবার যুক্তরাজ্য আগামী মাসে ৩২ মিলিয়ন মানুষকে করোনার বুস্টার ডোজ দিতে যাচ্ছে। রোববার দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রম আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে। প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্য প্রথম ফাইজার-বায়োএনটেকের ডোজ দিয়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু করে গত বছরের ডিসেম্বরে। পরে দেশটিতে অন্য কোম্পানির টিকা দেয়া শুরু হয়। যুক্তরাজ্যে ৪৬ মিলিয়নের বেশি মানুষ করোনার প্রথম ডোজ পেয়েছেন এখন পর্যন্ত। আর ৩৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ টিকার উভয় ডোজ পেয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
রয়টার্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে রোববার নতুন করে ২৪ হাজার ৪৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ৬০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আর মারা গেছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০০ জন।
সম্প্রতি বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের টিকা নিলে সেটা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় বেশি কাজ করে বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে।
কম-কোভ ট্রায়াল নামের এই গবেষণায় দেখা হয়, ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুইটি করে ডোজে কোভিড-১৯ সুরক্ষায় বেশি কাজ করছে নাকি আলাদা ধরনের দুই টিকার সংমিশ্রণে বেশি উপকার পাওয়া যাচ্ছে?
গবেষণায় দেখা গেছে, দুইটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের টিকার সংমিশ্রণে মানুষের শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যাচ্ছে।
এই গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ পেয়েছেন, তারা যদি বুস্টার ডোজ হিসাবে তৃতীয় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের টিকা নেন, তাহলে সেটি তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তথ্যের ফলে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহার আরও সহজ হবে। তবে এটি নিয়ে আরও বিশদ আকারে গবেষণা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, এনডিটিভি
এসএনআর/জিকেএস