শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা বাধ্যতামূলক করল হংকং
এবার সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করল হংকং। হয় এসব পেশার লোকজনকে টিকা নিতে হবে নয়তো প্রতি নিয়ত অর্থ খরচ করে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। সোমবার স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশই যেখানে টিকা সরবরাহে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে হংকং ইতোমধ্যেই প্রয়োজন অনুসারে টিকার ডোজ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু লোকজনের মধ্যে এখনও টিকা নেয়ার বিষয়ে সেভাবে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
৬ মাস আগে দেশটিতে টিকার কার্যক্রম শুরু হলেও এখন পর্যন্ত দেশটির ৭৫ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন ৪৮ শতাংশ মানুষ।
গত ১৮ মাস ধরে হংকংয়ের নাগরিক নয় এমন লোকজনের জন্য প্রায় সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া হংকংয়ে পা রাখার পর প্রত্যেককে দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।
গত সোমবার হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম এক ঘোষণায় জানান, চারটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর- সরকারি কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মী, কেয়ার হোমের স্টাফ এবং স্কুলের শিক্ষকদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে দেশে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশটির সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ৭০ ভাগ এবং ৪৭ ভাগ শিক্ষক টিকা গ্রহণ করেছেন। যারা টিকা নেবেন না তাদের নিজেদের পয়সা খরচ করে সপ্তাহে দু'বার করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। একই সঙ্গে তারা কেন টিকা নেবেন না সে বিষয়ে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে।
ক্যারি লাম এ বিষয়ে বলেন, টিকা না নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈধ কোনও কারণ না দেখাতে পারলে সরকার তা মেনে নেবে বলে আমি মনে করি না। প্রায় ৫০ দিন ধরে হংকংয়ে নতুন করে স্থানীয় কোনও সংক্রমণ দেখা যায়নি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হংকংয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৯১। এর মধ্যে মারা গেছে ২১২ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১ হাজার ৭১৫ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ।
টিটিএন/এএসএম