আক্রান্ত-মৃত্যুর রেকর্ড থাইল্যান্ডে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২১

থাইল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। দেশটিতে নতুন করে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ২শ জন। একই সময়ে মারা গেছে ১৮৮ জন। করোনা মহামারি শুরুর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। ফলে সেখানে বিধিনিষেধ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ৫ হাজার ৫০৩ জন।

এর আগে গত শনিবার দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সে সময় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৯১২ এবং মারা গেছে ১৭৮ জন। এর একদিন পরেই রাজধানী ব্যাংকক এবং অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা প্রদেশগুলোতে বিধিনিষেধ কঠোর করে থাইল্যান্ড। মঙ্গলবার থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ শপিংমল বন্ধ এবং ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে ‘ডার্ক রেড জোন’ হিসেবে তালিকাভূক্ত করে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়।

আগামী ১৮ আগস্ট এই বিধিনিষেধ পর্যালোচনা করা হবে। থাইল্যান্ড সরকারের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্র আপিসামি সিরাংসান বলেন, যদি পরিস্থিতির উন্নয়ন না ঘটে তবে বিধিনিষেধ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংককের চেয়ে অন্যান্য প্রদেশগুলোতে সংক্রমণ অনেক বেশি। ফলে সংক্রমণের গতি রোধ করতে বিধিনিষেধ কঠোর করার প্রয়োজন রয়েছে। গত মাসেই লোকজনকে বিধিনিষেধ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারে পৌছাতে পারে।

এর আগে গত জুনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করে থাইল্যান্ড। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত দেশটির ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৫.৮ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ পেয়েছেন। অপরদিকে প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছেন।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।