সিডনিতে শনাক্ত-মৃত্যুর রেকর্ড, লকডাউন বাড়ল মেলবোর্নে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২১

সোমবার করোনা মহামারির একটি ভয়াবহ দিন দেখল অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনি। অন্যদিকে করোনার তীব্রতার কারণে মেলবোর্নে রাত্রীকালীন কারফিউসহ লকডাউন দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় সিডনিতে সাতজন করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন এবং নতুন করে ৪৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা মহামারির শুরুর পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সিডনিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান সোমবার এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা করোনা মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।’ অস্ট্রেলিয়া সরকার নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য ৫শ সেনা সদস্য মোতায়েন করেছে।

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, ২২ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়ায় রাতে কারফিউয়ের পাশাপাশি মেলবোর্নে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন অবস্থায় আছি যে লকডাউন ব্যতীত কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সোমবার নতুন করে ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখানেও দুই সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন, ক্যানবেরা ও ডারউইনে লকডাউন জারি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সোমবার বলেন, ইতোমধ্যেই পোল্যান্ড থেকে ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। যদিও করোনা মহামারির বিপরীতে ভ্যাকসিনের ধীরগতির কারণে মরিসনের ওপর চাপ বাড়ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের ওপরে ২৬ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা দেশটিতে ক্রমেই সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া মহামারির প্রাথমিক অবস্থা কাটিয়ে উঠলেও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় দেশটিতে বেকারত্বসহ অর্থনৈতিক সংকটের সম্ভাবনা বাড়ছে।

এমএসএম/টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।