মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের ইমিউনিটি থাকে ৬ মাস
মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের ইমিউনিটি প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত থাকে। ফলে এসময় তাদের দেহের এন্টিবডি তাদের নতুন করে আবারও সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। মিশিগান মেডিসিনের ওই গবেষণা মাইক্রোবায়োলজি স্পেকট্রাম জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।
পিসিআর টেস্টে নিশ্চিত হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ১৩০টি বিষয় বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। প্রাথমিক সংক্রমণের তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এসব গবেষণা চালানো হয়।
গবেষক দলের প্রধান চার্লস স্কুলার বলেন, করোনায় গুরুতর অসুস্থদের দেহে সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি হয়। তিনি মিশিগান মেডিসিনের অ্যালার্জি অ্যান্ড ইমিউনোলজির সহযোগী অধ্যাপক।
তিনি বলেন, আমরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছি যারা করোনার মৃদু সংক্রমণে ভুগছেন তারা আক্রান্ত হওয়ার পর ভালোই অনুভব করেন। তাদের দেহেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং সেগুলো কয়েক মাস পর্যন্ত থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাদের কেউ পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হয়নি। অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি এমন ১৫ রোগীর সঙ্গে তুলনা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
মিশিগান মেডিসিনের ফুড অ্যালার্জি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মেরি এইচ ওয়েইসার বলেন, কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডি নষ্ট হয়ে যায়। তবে মৃদু সংক্রমণ থেকে যাদের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রেই তা দীর্ঘস্থায়ী এবং শক্তিশালী হয় বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, যাদের মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি বা কনভালসেন্ট প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসা করা হয় তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর টিকা দেওয়ার আগে কমপক্ষে ৯০ দিন অপেক্ষা করা উচিত।
কেন্টাকির এক গবেষণা বলছে, যারা ভ্যাকসিন নেয়নি তারা ভ্যাকসিন নেওয়া লোকজনের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা ভ্যাকসিন নেওয়া লোকজনের চেয়ে বেশি।
টিটিএন/এএসএম