কোভিড আতঙ্কে কড়া প্রশাসন, বিধিনিষেধেই শারদোৎসব ত্রিপুরায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক ত্রিপুরা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

বছর ঘুরে আবার পূজা এলেও স্বাভাবিক হয়নি করোনা পরিস্থিতি। তাই এবছরও দর্শনার্থীদেরকে পূজার দিনগুলোতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও। এক নোটিশে এমনটাই জানিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।

গত বছরের কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন, এ বছর হয়তো পরিস্থিতি বদলাবে। কিন্তু তা আর হলো না। করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমে এলেও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য প্রশাসন। তারা রাজ্যে পূজার আয়োজন করা ক্লাবগুলোকে ইতোমধ্যেই করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দিয়েছেন। কেউ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে মোট ৩৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৯১ ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন মোট ২৪ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৮ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন মোট ১৩ লাখ ৩১ হাজার ১৪৩ জন। কোভিডের ভ্যাকসিন মজুতের মাত্রাও এখন বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। এক্ষেত্রে গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভ্যাকসিন মজুতের মাত্রা দাঁড়ায় ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ ডোজ।

অন্যদিকে, রাজ্যের আরেক রিপোর্টে দেখা যায়, আগের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। এক্ষেত্রে গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। সেদিন পরীক্ষা করা হয়েছিল ২ হাজার ৫৫০টি নমুনা।

রাজ্য প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বললেন, আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও ভাইরাসকে একেবারে নির্মূল করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের একটি আশঙ্কাও। শিশু আক্রান্তের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। এই অবস্থায় বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে পূজার্চনা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই প্রশাসনের কাছে।

নিয়ম অনুযায়ী এ বছর সর্বাধিক পাঁচ থেকে ১০ জন করে একসঙ্গে পূজা মণ্ডপের সামনে যেতে পারবেন। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।