নতুন বছরে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১

করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে সীমান্ত পুনরায় চালু করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন টিকার ডোজ সম্পন্ন করা মানুষদের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসেই সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের কোভিড রেসপন্স বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেন, দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষায় আমাদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক মানুষের ক্ষেত্রে বিষয়টি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আরও জানান, ক্রিসমাসের আগে সীমান্ত খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেই সরকারের। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনার সংক্রমণ আরও বেড়েছে, বিশেষ করে ইউরোপে। তাই সীমান্ত পুনরায় চালু হওয়ার পর আমাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে।

নতুন বছরে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড

তিনি জানান, সীমান্ত ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরতে পারবেন। ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ফিরতে পারবেন। সবশেষ এপ্রিলের শেষে ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন করা ও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত।

চীনের উহান থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসের ব্যাপারে আগেভাগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২০ সালে মার্চ মাসের মাঝামাঝি এটা স্পষ্ট হয় যে সাধারণ ফ্লু মহামারির কর্মপরিকল্পনা দিয়ে এই নতুন করোনাভাইরাস ঠেকানো যাবে না, বলেন নিউজিল্যান্ডে শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাইকেল বেকার। তিনি বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডকে শুরু থেকেই সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তার উদ্দেশ্য হতে হবে ভাইরাসটি একেবারে উচ্ছেদ করা।

পরবর্তীতে করোনা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয় নিউজিল্যান্ড সরকার। করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন প্রশংসাও কুড়িয়েছেন বিশ্ববাসীর।

সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান

এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।