এবার দ. আফ্রিকার ৮ দেশের ওপর থাইল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা
অস্ট্রেলিয়ার পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ৮ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে থাইল্যান্ড। সম্প্রতি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯টি দেশের ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন এই ধরনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা জানিয়েছে, করোনার অন্য সংক্রামক ধরনগুলোর তুলনায় নতুনটিতে পুনঃআক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সে কারণে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার নতুন এই ধরনের সঙ্গে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সে বিষয়টি বুঝতে তড়িৎ গতিতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
হংকং এবং বেলজিয়ামে শনাক্তের পর এশিয়া এবং ইউরোপের কিছু দেশেও করোনার নতুন ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো, মালাওয়ি, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে।
শনিবার থেকে এসব দেশের নাগরিকরা থাইল্যান্ডে ভ্রমণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাপরিচালক জেনারেল ওপাস কার্নকাওয়িনপং সাংবাদিকদের বলেন, এই ৮ দেশের যেসব নাগরিকদের এরই মধ্যেই তাদের দেশে ভ্রমণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাদের বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা আফ্রিকার অন্যান্য দেশ যারা ইতোমধ্যেই থাইল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন তাদের হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতে কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণে ৬৩ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছিল থাইল্যান্ড। দেশটি জানিয়েছে, এই তালিকায় আফ্রিকার কোনো দেশ নেই।
থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ২১ লাখ মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৭ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন।
টিটিএন/এমএস