ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। অনেক দেশই এরই মধ্যে প্রথম কেস শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। করোনার নতুন এই ধরনটির বিস্তারের মাত্রা বোঝার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন দেশের সরকার।
সোমবার যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত নয়টি কেস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্কটল্যান্ডেই আক্রান্ত হয়েছে ছয়জন।
অপরদিকে নেদারল্যান্ডস এবং পর্তুগালে ১৩ জন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
পর্তুগালে আক্রান্ত সবাই লিসবনভিত্তিক একটি ফুটবল টিমের সদস্য। অপরদিকে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আর্মস্টারডামের স্কিফল বিমানবন্দরে আসা ১৩ জনকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাদের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
এদিকে জার্মানিতে তিনজন, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং বেলজিয়ামে একজন করে করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার শুরুর দিকেই অস্ট্রিয়া জানায়, তাদের দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত প্রথম কেস শনাক্ত হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এরপরেই অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও কানাডায় নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এখন একের পর এক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন এই ধরনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা জানিয়েছে, করোনার অন্য সংক্রামক ধরনগুলোর তুলনায় নতুনটিতে পুনঃআক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সে কারণে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, জাপান, নেদারল্যান্ডস, মালদ্বীপ, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর বিধিনিষেধ বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের ব্যাপারে চিন্তা করছে।
টিটিএন/এএসএম