বাড়ি থেকে কাজ করলে কর্মীদের বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা ভারতের
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বাড়ি থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তবে এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেশি সময় কাজ করাচ্ছে বা পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে বাড়ি থেকে কাজ করা বেসরকারি কর্মীদের আইনি সুরক্ষা দিতে চিন্তাভাবনা করছে ভারত সরকার। নতুন নিয়মে এ ধরনের কর্মীদের আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবর অনুসারে, শিগগির যেন বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম চালু করা যায় তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস ভয়াবহভাবে ছড়াতে শুরু করলে অনেক প্রতিষ্ঠানেরই কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর একটু একটু করে পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রথমে সার্বিকভাবে বাড়ি থেকে কাজ পদ্ধতি চালু হয়। এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। কোথাও কোথাও দুটোই চলছে।
কিন্তু ভারতে বাড়ি থেকে কাজ করার কোনো আইনগত বিধিনিষেধ নেই। সে জন্যই এই ব্যবস্থাকে আইনের মধ্যে আনার পরিকল্পনা হচ্ছে। কারণ, বাড়ি থেকে কাজ হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করাচ্ছে। কিন্তু তার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিচ্ছে না।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বাড়ি থেকে কাজ করায় কর্মীরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের যাতায়াতের সময় যেমন বেঁচে যাচ্ছে, তেমনি খরচও কম হচ্ছে। বিপরীতে, কর্মীদের বক্তব্য, যেহেতু বাড়ি থেকে কাজ করানো হচ্ছে, তাই কাজের কোনো সময়সীমা থাকছে না। এর চেয়ে অফিস করাই ভালো। আবার বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে কিছু খরচ বেড়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন কর্মীরা। যেমন- ইন্টারনেট ও বিদ্যুতের খরচ। কিন্তু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের এই বাবদ অতিরিক্ত অর্থ দেয় না।
জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যে আইনি বিধিবিধান তৈরির কথা ভাবছে, তাতে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বাবদ কর্মীরা যেন অবশ্যই অর্থ পান সেটি দেখা হবে। কোন ক্ষেত্রে কেমন নিয়ম চালু করা যায় তা ঠিক করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার সঙ্গেও কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আগে বিশেষ প্রয়োজনে আইটি ও আইটি সংশ্লিষ্ট খাতে বাড়ি থেকে কাজ করার পদ্ধতি চালু ছিল। তাই সেখানে এ সংক্রান্ত কিছু নিয়ম এমনিতেই রয়েছে। এখন সব খাতকে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে আনতে চায় ভারত সরকার। তবে সেই নিয়ম কবে কার্যকর হতে পারে তা জানা যায়নি।
কেএএ/জিকেএস