ত্রিপুরায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি, তবে সজাগ থাকতে হবে
আগরতলা সংবাদদাতা
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন বছরেই আবারও হতে যাচ্ছে করোনা বিধিনিষেধ। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, গতদিনে সব অংশের জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে সরকারি বিধিনিষেধ পালনের মধ্য দিয়েই তা সম্ভব হয়। আগামী দিনেও ঠিক সেভাবেই যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। তবে এক্ষেত্রেও সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে জনগণকে।
তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আগত ৬৯ জন বিদেশি যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত করার জন্য হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং পরীক্ষা করা হয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে ৩১ জনের তথ্য এরই মধ্যে নেগেটিভ এসেছে।
সুশান্ত চৌধুরী বলেন, অন্য দুই জনের রিপোর্ট অবশ্য এখনও এসে পৌঁছায়নি। বর্তমানে রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার মতো সুবিধা না থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকেল অ্যান্ড মেলিকুলার স্টাডিজে এই নমুনা পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নমুনা পরীক্ষা করার পদ্ধতি ‘হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং’ মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ত্রিপুরায়। প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি হাসপাতালেই করা হবে এই ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বৃহস্পতিবারই দেশের রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রন নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক থেকেই প্রত্যেক রাজ্যকে কোভিড বিধি সংক্রান্ত সতকর্তা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, সেই অনুযায়ী ত্রিপুরাতেও কোভিড বিধির পাশাপাশি ওমিক্রন সংক্রান্ত বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক থেকেই সাধারণ অংশের জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিতে বলা হয়।
মন্ত্রী যোগ করেন, ত্রিপুরাতে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। তাই এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণও দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। আপাতত তাই নৈশকার্ফু জারি করার পরিকল্পনাও নেয়নি সরকার। ওমিক্রনের হাত থেকে রাজ্যকে রক্ষা করার লক্ষ্যে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যজুড়ে ফের কোভিড বিধিনিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমআরএম/এএসএম