করোনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী জিন শনাক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২২
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়া একটি জিন আবিষ্কার করেছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। পোলিশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই জিন ১৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গেলেও ভারতে এর হার প্রায় দ্বিগুণ। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

করোনাভাইরা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ৫৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু পোল্যান্ডেই মারা গেছেন এক লাখের বেশি, যা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ।

পোলিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা লোকদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে নতুন আবিষ্কারটি। এ কারণে সম্ভাব্য রোগীদের করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার সঙ্গে জেনেটিক পরীক্ষাও যোগ করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। আগামী জুন মাসের শেষের দিকেই শুরু হতে পারে এ কার্যক্রম।

বিয়ালস্টক মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বাড়ানো জিন পোলিশ জনগোষ্ঠীর ১৪ শতাংশের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পারে। ইউরোপজুড়ে এর হার নয় শতাংশ এবং ভারতে আনুমানিক ২৭ শতাংশ মানুষের মধ্যে এর দেখা মিলতে পারে।

গবেষকদের মতে, বয়স, ওজন ও লিঙ্গের পরে করোনায় অসুস্থতার তীব্রতা নির্ধারণে চতুর্থ সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই জিন। প্রায় দেড় হাজার মানুষের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়।

মারসিন মনিউসকো নামে গবেষণার দায়িত্বে থাকা এক অধ্যাপক বলেন, যেসব লোক করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে অথবা সংক্রমিত হওয়ার আগেই গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, তাদের আরও ভালোভাবে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে জেনেটিক পরীক্ষা।

বলা হচ্ছে, পোল্যান্ডে করোনায় উচ্চ মৃত্যুহারের সম্ভাব্য আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে এই আবিষ্কার। ইরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, মহামারি চলাকালে দেশটিতে গড় অতিরিক্ত মৃত্যুহার ২০ শতাংশের বেশি, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে ভয়াবহ ফলাফলগুলোর মধ্যে অন্যতম।

গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি পোলিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।