‘ফাইজারের চতুর্থ ডোজও ওমিক্রন ঠেকাতে যথেষ্ট নয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের চতুর্থ ডোজও যথেষ্ট নয় বলছেন ইসরায়েলি গবেষকরা। দেশটিতে চতুর্থ, বুস্টার ডোজের ট্রায়ালের প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে এমন তথ্য। স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ট্রায়ালের প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির গবেষকরা।

তেল আবিবের সেবা মেডিকেল সেন্টারে ১৫৪ জন চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ট্রায়াল শুরুর দুই সপ্তাহ পর, গবেষকরা খুঁজে পান যে, ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়িয়েছে।

ট্রায়ালের গবেষক দলের প্রধান গিলি রেগেভ-ইয়োচের ভাষ্যমতে, কিন্তু এটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে আংশিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, যে ভ্যাকসিনগুলো আগের ধরনগুলোর বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ছিল সেগুলো ওমিক্রন প্রতিরোধে কম সুরক্ষা দেয়। তিনি আরও বলেন, যারা ট্রায়ালে অংশ নেন তাদের সংক্রমণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃদু ছিল কিংবা লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।

jagonews24

গত সপ্তাহে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকরাও সতর্ক করেছিলেন যে ঘন ঘন কোভিড -১৯ বুস্টার ডোজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে।

ইসরায়েলই প্রথম চতুর্থ ডোজ দেওয়ার ট্রায়াল করলো। গতবছর ডিসেম্বরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় ইসরায়েল সরকার ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দেয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত দেশটিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ টিকার এই অতিরিক্ত ডোজ নিয়েছেন।

এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে গবেষক দলের প্রধান গিলি রেগেভ-ইয়োচে আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণদের ক্ষেত্রে টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কেননা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এটি বাড়তি সুবিধা দিতে পারতো। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে এটি ভালো ফল দেখাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে মডার্না টিকারও ট্রায়াল করেন তারা। ফাইজার-বায়োএনটেকের তৃতীয় ডোজ নেওয়া ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ট্রায়ালে অংশ নেন। এক সপ্তাহের ট্রায়ালে দেখা গেছে, তাদের শরীরেও একই এন্টিবডি পাওয়া গেছে, যেটি ফাইজার টিকার ডোজের ক্ষেত্রে পাওয়া গিয়েছিল।

সূত্র: ব্লুমবার্গ

এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।