অর্থনীতি চাঙা করতে আর্থিক নীতিতে নজর চীনের
করোনা সম্পর্কিত কঠোর লকডাউনে চীনের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বড় অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন। দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রমবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আর্থিক ও শিল্প নীতিতে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ধীর গতি ও ধারাবাহিক লকডাউনের ফলে চীনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে দেশটির যুবক বেকারত্বের হার জুলাই মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৯ শতাংশে। তাছাড়া এ সময়ে বেকারত্ব বীমা পরিশোধ সর্বকালের সর্বোচ্চ হয়েছে।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-মন্ত্রী লি ঝং বলেছেন, চীনের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি দীর্ঘকাল ধরে সাধারণভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি চাপ অব্যাহত রয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীল কারণগুলোর সঙ্গে কাঠামোগত দ্বন্দ্ব আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। চাকরি, কর্মসংস্থান, কাজ এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় শূন্য নীতি ও দীর্ঘ লকডাউনে মূলত চীনের অর্থনীতি থমকে যায়। কারণ এ সময় সরবরাহ ও উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষুদ্র-ব্যবসা। দেশটিতে এক-তৃতীয়াং কর্মসংস্থান বেসরকারিখাতে।
বর্তমানে কিছু তরুণ চাকরির সন্ধানকারীরা নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে চীন পরবর্তী ধাপে কলেজ স্নাতক ও অভিবাসীকর্মীদের চাকরি পেতে সহায়তা করার দিকে মনোনিবেশ করবে।
অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন করে ১৯টি নীতি গ্রহণ করেছে চীন। এর মধ্যে অন্যতম হলো ৪৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার দ্বারা নীতি অর্থায়ন সরঞ্জামের কোটা বৃদ্ধি।
এমএসএম/জেআইএম