মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সু চি!


প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সদ্য শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে ক্যামেরার সামনে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির সংসদ সদস্যদের। তবে এ সময় সবার মুখেই বারবার ঘুরে ফিরে একটি প্রশ্ন শোনা গেছে; আর তা হলো, কে হচ্ছে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।    

নভেম্বরে সু চির এনএলডি বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। এরপর কীভাবে দেশ পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানায় সু চি। ২৬ জানুয়ারি সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সু চি। এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইস্যুতে সংবিধানের বিধি-নিষেধের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা এনএলডির প্রধান সু চিই দেশটির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। কিন্তু দেশটির সাংবিধানিক বিধি-নিষেধের কারণে তিনি এই পদে আসীন হতে পারবেন না। তাই সু চিকে ক্ষমতায় বসাতে ২০১১ সালে সংবিধানে যোগ করা সেই বিধি সংশোধন করতে চায় এনএলডি।

suu-kyi
এবিষয়ে এনএলডি`র গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য টুন টুন হেইন রয়টার্সকে বলেন, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার থাকবে; মেয়াদোত্তীর্ণ এবং বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় সংবিধানের এমন বিধান সংশোধন করা। তিনি আরো বলেন, যেহেতু এটি একটি আইন, সেজন্য সংবিধানের সংশোধন প্রয়োজন রয়েছে।

এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি বলেন, তার দল নির্বাচিত হলে প্রেসিডেন্টের উপরে থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে ইয়াংগুনের কূটনীতিকরা বলেন, সু চির কাছ থেকে সেনাবাহিনীর বিশাল অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না কিংবা জান্তা শাসনের জন্য প্রতিশোধ নেওয়া হবে না এমন প্রতিশ্রুতির পেলেই সেনাপ্রধান সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে মুখ খুলবেন।

myanmar-suu
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক পশ্চিমা এক কূটনীতিক বলেন, সু চিকে যদি কোনো ধরনের সরকারি পদবী ছাড়া রাখা হয়; তাহলে দেশের চলমান বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা করা থেকে তিনি মুক্ত থাকবেন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এনএলডির দুই জ্যেষ্ঠ সদস্য জানান, সরকারের উচ্চ পদস্থ কিছু পদের বিনিময়ে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি সমঝোতা হতে পারে। তবে ওই দুই সদস্যের নাম প্রকাশ করেনি নিউ ইয়র্ক টাইমস। এছাড়া এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনএলডির আলোচনাও স্পষ্ট নয়।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।