মাটি খুঁড়ে প্রাচীন আমলের ৫৫৫টি মুদ্রার সন্ধান


প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাটি খননকালে ৫৫৫টি প্রাচীন আমলের ধাতব মুদ্রার সন্ধান পাওয়া গেছে। উপজেলার শিকারপুর গ্রামের শাহ আলমের বাড়ির আঙিনা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় মুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া ধাতব মুদ্রাগুলো ১৮১৮ সাল থেকে সমসাময়িক সময়ের বলে দাবি উপজেলা প্রশাসনের।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার বিকেলে গুরুদাসপুর উপজেলার মসিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের শাহ আলম বাড়ি তৈরির জন্য শ্রমিকদের দিয়ে মাটি খনন করছিলেন। মাটি খননের এক পর্যায়ে মাটির একটি হাঁড়ি দেখতে পায় শ্রমিকরা। পরে হাঁড়ির ভেতর বেশ কিছু ধাতব মুদ্রা দেখতে পায় তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশের খবর দেয়। পরে পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার হাঁড়িটি উদ্ধার করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এসময় ৫৫৫টি ধাতব মুদ্রা গণনা করা হয়।

বাড়ির মালিক শাহ আলম জানান, আঙিনায় ঘর তৈরির জন্য শ্রমিকদের দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছিল। খননের সময় কোদালের আঘাতে মাটির হাঁড়িটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ধাতব মুদ্রাগুলো পরিষ্কার করে বিভিন্ন সাল দেখতে পাওয়া যায়।

Natore

তিনি আরো জানান, কারো অজান্তে পূর্ব পুরুষের কেউ হয়তো ধাতব মুদ্রাগুলো সংগ্রহ করে হাঁড়িতে মাটির নিচে রেখে গেছেন।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার জানান, খবর পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মাটির হাঁড়িসহ ধাতব মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে গণনা করে মোট ৫৫৫টি মুদ্রা পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, ধাতব মুদ্রাগুলো কিভাবে আসলো এটা কারো কাছে পরিষ্কার নয়। তবে পূর্ব পুরুষের কেউ মুদ্রাগুলো মাটির নিচে রেখে গেছে। ইতোমধ্যে মুদ্রাগুলো সিলগালা করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে জানানো হয়েছে। প্রত্নতত্ব বিভাগের কর্মকর্তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে বলা যাবে আসলে মুদ্রাগুলো কত সালের এবং কি দিয়ে তৈরি।

Natore

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন জানান, ১৮১৮ সাল থেকে সমসাময়িক সময়ের মুদ্রা। মুদ্রাগুলো তামা এবং দস্তার তৈরি। দীর্ঘদিন ধরে মাটির নিচে থাকায় কতগুলোর গায়ে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার যেগুলো ভালো রয়েছে সেগুলোর গায়ে ১৯৪৩ সালের ফোর্থ রুপি, ১৯১৯ সালের এক আনা লেখা রয়েছে।  

তিনি আরো জানান, ধাতব মুদ্রাগুলোর গায়ে লেখা দেখে অনুমান করা যাচ্ছে ১৮১৮ সাল থেকে সমসমায়িক সময়ের মুদ্রাগুলো কেউ সংগ্রহ করে রেখে গেছেন। মুদ্রাগুলোর বিষয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে জানানো হয়েছে, তারা আসলে অনুমান করা যাবে আসলে এগুলো কত সালের।

রেজাউল করিম রেজা/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।