‘জলবায়ু পরিবর্তন প্রযুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা যায় না’


প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জলবায়ু পরিবর্তন একটি স্বীকার্য বিষয়। এটা প্রযুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা যায় না।  এ নিয়ে আলোচনা দরকার। বাংলাদেশের জন্য ২০১৫ সাল গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে ২০১৬ সাল আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম ও এশিয়া-প্যাসিফিক পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের প্রাপ্তি: ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।  

প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে এ বছরই চারটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যাতে ১৪৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। এ বছরই প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নে অনেকগুলো শর্ত ও চুক্তি হবে। এসব বৈঠক ও চুক্তি স্বাক্ষরের আগে সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম ও এশিয়া-প্যাসিফিক পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপিত কামরুল ইসলামের পরিচালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনইএসসিএপি’র সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. রেজাউল করিম, বিআইডিএস’র প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. এম আসাদুজ্জামান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত প্রমুখ ।

আলোচকরা বলেন, প্যারিস চুক্তি পর্যালোচনার মাধ্যমে আরো ঘষামাজা করার সুযোগ রয়েছে। এ চুক্তিতে বাংলাদেশ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জোটের জন্য ভালো কিছু আছে। দ্রুত সুবিধা নিতে আমাদের সবক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতে হবে।

আলোচকরা আরো বলেন, প্যারিস চুক্তিতে পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে, যা বিশেজ্ঞ প্যানেল করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দর কষাকষির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য সফলই বলা যায়। এখন এই সুবিধা ভোগের জন্য সরকারি প্রতিনিধি দলের দর কষাকষির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তথ্য উপাত্ত ও বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এএস/এসকেডি/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।