সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চ, তোরণ, ব্যানার-প্যানা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল্লা-আল মামুনসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম দিয়ে এবং আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল ১৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরগঞ্জ ডি-ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি দিয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় প্যান্ডেলে থাকা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলর কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ফিরে না আসার সংবাদ শুনে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তারা সম্মেলনস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও এমপি লিটনের ছবি সম্বলিত তোরণ ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
মামলার এজাহারে সম্মেলনের সভাপতি প্রার্থী সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল্লা আলম মামুনের নেতৃত্বে তার পক্ষের সমর্থকরা ওই ঘটনা ঘটায় বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আশরাফুজ্জামান শনিবার রাতে জানান, ভাঙচুরের অভিযোগে পৌর মেয়র আবদুল্লা আল মামুনকে এক নম্বর আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি মামলার অন্য আসামিদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে এমপি মো. মেঞ্জুরুল ইসলাম লিটন জানান, সম্মেলনস্থলে কাউন্সিলরের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল্লা আল মামুনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অমিত দাশ/এসএস/আরআইপি