করোনাভাইরাস
বিদেশি যাত্রীদের জন্য আবারও টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করছে ভারত
চীনে নতুন করে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ শুরু হওয়ায় পুনরায় বিদেশি যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। প্রাথমিকভাবে যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি, শুধু সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীরা এ নিয়েমের মধ্যে পড়বেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্য শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। অবশ্য তিনি কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
মানসুখ মাণ্ডব্য বলেন, বর্তমানে কোন কোন দেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ চলছে, সে তথ্য সংগ্রহে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে।
‘আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সে তালিকা হাতে পাবো। পরে তালিকায় থাকা দেশগুলোর যাত্রীদের ওপর নতুন করে জারি করা নিয়ম প্রয়োগ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, তালিকাভুক্ত দেশগুলোর যাত্রীদের কাছ থেকে আমরা আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্টই আশা করবো। ভারতে অবতরণের পর বিমানবন্দরে তাদের এ রিপোর্ট দেখাতে হবে। পাশপাশি তাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করতে না করতেই চীনে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি জানায়, চীনে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দিনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি।
দেশটির সঙ্গে সীমান্ত থাকায় ও প্রতিদিন অসংখ্য চীনা যাত্রী প্রবেশ করায় ভারতও সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ধরনের আবির্ভাব হলো কি না জানতে এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে করোনা রোগীদের নমুনা বিশেষভাবে পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটে, সেসব দেশের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারত।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মহামারির গত আড়াই বছরে দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮২০ জন ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ জন ভারতীয় নাগরিক।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ