সাত খুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ বৃহস্পতিবার


প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুইটি মামলার একটির সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
 
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৩ মার্চ প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের দায়ের করা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
 
এছাড়া আগামী ৭ মার্চ এ মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ ও এমএম রানাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।

Narayanganj-Photo
এদিকে, সাত খুন মামলার উপস্থিত ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ আসামিকে জেরা করেন বাদিপক্ষের আইনজীবী আর ১০ জন আসামির পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকলেও শুনানিতে অংশগ্রহণ করেনি। এছাড়া মামলার কাগজপত্র না থাকার অজুহাত দেখিয়ে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও এমএম রানার আইনজীবী বাদিকে জেরার প্রার্থনা করেন। ২৩ আসামির মধ্যে র‌্যাব-১১ চাকরিচ্যুত মেজর আরিফসহ আলামিন, আবুল বাশার, আলী মোহাম্মদ, রহম আলী, আবু তৈয়ব, এমদাদুল হকসহ ১০ জনের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান সাংবাদিকদের জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানিতে তারেক সাঈদ অসুস্থতার নাটক করে আদালতে হাজির হযনি। মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আর তিনদিন পর আজকে পুরোপুরি সুস্থ দেখে মনে হয়, ওই দিন তারেক সাঈদ নাটক করেছে।

তিনি আরো জানান, সাক্ষ্যগ্রহণে সাত খুনের একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল আদালতের কাছে ঘটনার বিবরণ উত্থাপন করেন এবং তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিভিন্ন কৌশলে জেরা করেন। তাদের জেরা বাদি সঠিকভাবে জবাব দিয়েছেন। এছাড়া সাত খুন মামলা দেশের একটি আলোচিত মামলা। এ মামলার বিচার কার্যে সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকা দরকার। আর আদালতে সাংবাদিকদের উপস্থিতির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া উচিত বলে মনে করেন।

Narayanganj
নারায়ণগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, সাত খুনের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণে একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেছে এবং তিনজন আসামিপক্ষের আইনজীবী জেরা করার প্রার্থনা করলে আগামী ৭ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। আর আগামী ৩ মার্চ দ্বিতীয় দফায় আরেক মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটির সাক্ষ্যগ্রহণ।

আদালত থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, জায়গা সংকুলান থাকায় আইনজীবীদের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কায় আদালতের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর আগামীতে জজ সাহেবের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সাংবাদিকরা আদালতে প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।  
           
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং ১ মে আরও একজনের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে।

শাহাদাত হোসেন/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।