৯০ বছর বয়সে আধার কার্ড পেলেন অমর্ত্য সেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৩
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন/ ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি

অবশেষে আধার কার্ড পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ৯০ ছুঁই ছুঁই অমর্ত্য সেনের আধার কার্ড তৈরির একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করে ভারতীয় ডাক বিভাগ। পাসপোর্টের পরই জাতীয় পরিচয় পত্র হিসেবে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ নথি হলো, আধার কার্ড।

জানা যায়, এতদিন আধার কার্ড ছাড়াই ভারতে বসবাস করে আসছিলেন নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ। কিন্তু সম্প্রতি তিনি পশ্চিমবঙ্গের বোলপুর মহকুমা প্রশাসকের কাছে আধার কার্ড পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার এ আবেদনের কথা জানানো হয় ভারতীয় ডাক বিভাগকে। সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগী হয় তারা।

আরও পড়ুন>> অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি, দাবি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

আধার কার্ড তৈরির যাবতীয় প্রস্তুতি নেয় ডাক বিভাগ। প্রবীণ ও শ্রদ্ধেয় এ মানুষটিকে যাতে কষ্ট করে সরকারি দপ্তরের রুমে রুমে ঘুরতে না হয়, সেজন্য শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ নামক বাড়িতেই পৌঁছে যায় ডাক বিভাগের একটি ইউনিট। ছবি তোলা থেকে, আঙুলের ছাপ নেওয়া অর্থাৎ বায়োমেট্রিক সব কাজটাই সারা হয় সেখানে।

পুরো প্রক্রিয়াটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হয়। সে ফুটেজ দিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার ডাক বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয় সে তথ্যচিত্র।

এদিকে অমর্ত্য সেনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তির আধার কার্ড করে দিতে পেরে নিজেদের গর্বিত বলে মনে করছেন বীরভূম জেলা ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত দত্ত।

আরও পড়ুন>> শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের জমিজট কাটলো না

তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটা গৌরবের। বলাই বাহুল্য, তিনি অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। আমরা একটি ইউনিট সব সরঞ্জাম নিয়ে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। ডাক বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় তার আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে।

একটি পোস্ট কার্ডে নেওয়া হয় তার স্বাক্ষর। সেখানে বাংলায় নিজের নাম লেখেন অমর্ত্য সেন। সম্প্রতি অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা ভারতীয় ডাক বিভাগ যেভাবে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালো, তা ব্যতিক্রম ও তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন>> অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে আবারও বিশ্বভারতীর চিঠি

সম্প্রতি, অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, অমর্ত্য সেনের নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

স্বাভাবিকভাবেই অমর্ত্য সেনের মতো একজন প্রথিতযশার পক্ষে এ ধরনের কটাক্ষ চরম অসম্মানজনক বলে মনে করেন অনেকে। এমনকি, দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হতে হয় পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও।

আরও পড়ুন>> অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা

এরপরই বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী পুরো জমি অমর্ত্য সেনের নামেই রেকর্ড করে দেয় রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। এরই মধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন অমর্ত্য।

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।