মোদীর বাড়ির সামনেও অবস্থান ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি মমতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৩
ফাইল ছবি

ভারতে বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়া বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র-পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলছে। বুধবার (২৯ মার্চ) কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনা’র অভিযোগে কলকাতার রেড রোডের অবস্থান ধর্মঘটের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের পাশেও একই কর্মসূচি পালন করার হুমকি দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এদিন ছাত্র-যুবদের সভায় রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে দিল্লি অচলেরও হুমকি দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগ, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৭ হাজার কোটি রুপি আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ১৭ লাখ পরিবার আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৮ হাজার ২০০ কোটি রুপি বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১ লাখ পরিবারের বাড়ি তৈরির জন্য। সব মিলিয়ে ১ লাখ কোটি রুপির বেশি অর্থ কেন্দ্রের থেকে পায় বলে রাজ্যের দাবি। তার বিরুদ্ধেই এ দিন থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন মমতা।

মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের দাবি আদায়ে একবার নয়, এক কোটি বার ধরনায় বসবো। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। মমতার হিম্মত রয়েছে। দরকারে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির পাশেও বসতে পারি। আমি জনপ্রতিনিধি।

ধরনা মঞ্চের অদূরেই এ দিন দুপুরে শহিদ মিনারের পাদদেশে সভায় অভিষেক বলেন, দিল্লির দানবের কাছে বাংলা মাথা নত করবে না। এই আন্দোলন আমরা দিল্লিতে নিয়ে যাব। দিল্লি অচল করে দেখাবো। এই দাবি দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনবো।

মমতার ধরনা মঞ্চে এসে এ দিন অভিষেকের দাবি, ১৫১টি কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। প্রতি মাসে ৬-৭টি করে দল এসেছে। তার অভিযোগ, শুধু আবাস বা একশো দিনের কাজে নয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১০৭টি প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। গত এক বছরেই ৬৬টি প্রকল্পে টাকা দেয়নি।

কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতাও। এত লোকের প্লেন ভাড়া, খাওয়া-থাকার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ওই টাকা পেলেও কিছু গরিব মানুষকে দেওয়া যেত। বুধবার রাতে ধরনা মঞ্চেই ছিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত ধরনা কর্মসূচি চলবে।

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।