চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে অস্ট্রেলিয়া
![চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে অস্ট্রেলিয়া](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/albaneez-and-xi-20231105191817.jpg)
নানা ইস্যুতে বেশ কয়েক বছর ধরেই চীনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলছে অস্ট্রেলিয়ার। তবে সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। রোববার (৫ নভেম্বর) চার দিনের সফরে চীনে যান তিনি। প্রথম দিনেই সাংহাইয়ে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোতে দেওয়া এক ভাষণে ক্যানবেরা-বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলেন আলবানিজ।
জানা গেছে, সাত বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চীন সফরে গেছেন অ্যান্থনি আলবানিজ। চার দিনের এই সফরে তিনি বেশিরভাগ সময় কাটাবেন বেইজিং ও হংকংয়ে। এই সময়ের মধ্যে আলবানিজ চীন ও হংকংয়ের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কূটনৈতিক বিরোধের কারণে দেশ দুটির মধ্যে কয়েক হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। তাই অজি প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিবদমান সমস্যাগুলো সমাধানের পথ খোঁজা হবে।
অ্যান্থনি আলবানিজ তার ভাষণে বলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার চেয়ে বেশি মূল্যবান। আর গঠনমূলক অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আমি সে উদ্দেশ্যেই সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি। আমার সরকার চীনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাবে।
এর আগে গত বছর বালিতে জি-২০ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কিছুক্ষণ পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছিলেন, আমরা যখন সংলাপের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে গঠনমূলকভাবে কথা বলতে সক্ষম হবো, তখন বেইজিং-ক্যানবেরা সব দিক থেকেই ভালো থাকবে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত কোয়াডে যোগ দেয়। তার পরপরই অস্ট্রেলিয়ার কাছে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন তিনটি সাবমেরিন বিক্রির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানায় চীন।
তার আগে ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এই দাবি শি জিনপিং প্রশাসনকে গভীরভাবে হতাশ করেছিল। তার পরপরই চীনা রাষ্ট্রদূত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার কিছু শিল্পখাত দুর্ভোগে পড়তে পারে। ঠিকই অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ২ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যিক পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপসহ বিধিনিষেধ আরোপ করে চীন।
সূত্র: সিএনএ, এএফপি
এসএএইচ