কলকাতায় ‘১১তম বাংলাদেশ বইমেলা’ শুরু সোমবার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কলকাতায় ‘১১তম বাংলাদেশ বইমেলা’ শুরু হতে চলেছে সোমবার (৪ ডিসেম্বর)। চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, সম্মিলিত উদ্যোগে কলকাতার কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার বিকেল ৪ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন তৃণমুল কংগ্রেস বিধায়ক দেবাশিস কুমার ও বিধায়ক বিবেক গুপ্তা।

আরও পড়ুন: কলকাতায় প্রথমবারের মতো হচ্ছে ইন্দো-বাংলা গ্রেটার নোয়াখালী ‍উৎসব

বাংলাদেশের বিভিন্ন সৃজনশীল ও স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন বাংলাদেশের বই বিক্রির পাশাপাশি সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সংবাদ সম্মেলন থেকে এইসব তথ্য দেওয়া হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) শামসুল আরিফ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন: কলকাতায় আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু ১৮ জানুয়ারি

আন্দালিব ইলিয়াস জানান, প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ দিনের এই বইমেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৬৫টি প্রকাশনা সংস্থা। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, স্বভাবতই বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে মেলা প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়েছে ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক স্টল।

‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ স্টলে বঙ্গবন্ধুর লেখা ও তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই প্রদর্শন করা হবে, যদিও সেটি বিক্রির উদ্দেশ্যে নয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ছবিও সেখানে প্রদর্শনী করা হবে। সার্বক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও চলতে থাকবে। এতে যারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চান, যারা তাকে নিয়ে গবেষণা করতে চান, তারা উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন: কলকাতায় ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা

মেলায় বই বিক্রির পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে আলোচনা, কবিতা পাঠ এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন।

২০১১ সালে কলকাতায় প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশ বইমেলার। সূচনালগ্নে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায়। প্রথমবার মেলায় অংশ নেয় ১৮টি প্রকাশনা সংস্থা। পরের দুই বছর গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় অংশ নেয় ২২টি প্রকাশনা সংস্থা। তবে ২০১৪ সালের প্রথম বইমেলা স্থানান্তরিত হয়ে চলে আসে কলকাতার নন্দন চত্বরে, অংশ নেয় ৪২টা প্রকাশনা সংস্থা।

আরও পড়ুন: জামায়াত-হেফাজত-রাজাকার-রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছেন মমতা: শুভেন্দু

এরপর বাংলাদেশ বইমেলা হয়েছে রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পাশে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে, অংশ নেয় ৬৫টি প্রকাশনা। মাঝে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এক বছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার বইপাড়া নামে খ্যাত কলেজ স্ট্রিটের কলেজ স্কোয়ারে।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।