পাকিস্তানে নির্বাচন

পিপিপি’র যেসব শর্তে আটকে রয়েছে জোট সরকারের আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি ও শাহবাজ শরিফ। ফাইল ছবি: এএফপি

পাকিস্তানে নির্বাচনের পর ১০ দিন পার হতে চলেছে। কিন্তু আজও নিশ্চিত নয়, দেশটিতে সরকার গঠন করবে কারা। জোট গড়ার ঘোষণা দিলেও ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। ‘দেওয়া-নেওয়া’র শর্তে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে দুই দলের আলোচনা।

জানা গেছে, পিপিপি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সাংবিধানিক পদের বিনিময়ে সরকার গঠন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিএমএল-এনকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তবে কোনো মন্ত্রিত্ব নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।

পিপিপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, দলটি এখন পর্যন্ত সাংবিধানিক ও সংসদীয় পদগুলোর জন্য কারও নাম চূড়ান্ত করেনি। তবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বর্তমান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফই পদটিতে বহাল থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও এই পদটি চান।

আরও পড়ুন>>

এর আগে, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেনজির ভুট্টোর অধীনে পিপিপির দ্বিতীয় সরকারের সময় জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন রাজা গিলানি।

যেসব শর্ত দিয়েছে পিপিপি
সূত্র জানিয়েছে, গিলানি যদি স্পিকার নির্বাচিত হন, তবে সিনেটের যে আসনটি খালি হবে, সেটির নির্বাচনে পিএমএল-এনের সমর্থন চেয়েছে পিপিপি।

এছাড়া, গিলানিকে সিনেট চেয়ারম্যান পদেও বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এর সবই নির্ভর করছে দুই দলের মধ্যে চলমান আলোচনার ফলাফলের ওপর।

সিসিসির আলোচনায় উঠে এসেছে প্রদেশগুলোর জন্য উন্নয়ন তহবিল বরাদ্দের বিষয়ও।

আরও পড়ুন>>

সূত্র জানিয়েছে, নতুন সরকার প্রদেশগুলোতে, বিশেষ করে সিন্ধের ক্ষেত্রে বিনাবাধায় উন্নয়ন তহবিল ছেড়ে দেবে, পিএমএল-এন নেতৃত্বের কাছে এমন গ্যারান্টি চায় পিপিপি।

শোনা যাচ্ছে, পিএমএল-এনের জোট সরকারে অংশীদার হওয়ার শর্ত হিসেবে পাঞ্জাবেও ‘কিছুটা জায়গা’ চেয়েছে পিপিপি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রদেশটিতে একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ ১৩৭ আসনে জয়ী হয়েছে পিএমএল-এন। দলটি এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছে।

আরও পড়ুন>>

পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে ১০টি আসনে জিতে তৃতীয় হয়েছে পিপিপি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৬ আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

সূত্র জানিয়েছে, বেলুচিস্তানে প্রাদেশিক সরকার গঠনের বিষয়েও দুই দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। পিপিপি বেলুচিস্তানের বৃহত্তম দল, দ্বিতীয় হয়েছে পিএমএল-এন। মজার ব্যাপার হলো, উভয় দলই প্রদেশটিতে নিজস্ব সরকার গঠনের দাবি করছে।

সূত্র: ডন
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।