পাতা দিয়ে সৈকতে লেখা ‘হেল্প’
উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচলো ৩ নাবিকের
নির্জন ছোট্ট দ্বীপে সমুদ্রপথে সাহায্যের আশা নেই। কপাল জোরে সাহায্য যদিও আসে, তা হয়তো আসবে আকাশপথে। সেই আশায় সাদা বালির সৈকতে পাম গাছের বড় বড় পাতা সাজিয়ে লিখেছিলেন ইংরেজি ‘হেল্প’ শব্দটি। আর তা দেখেই আটকেপড়া তিন নাবিককে খুঁজে পায় মার্কিন নৌবাহিনী।
জানা যায়, ওই তিন নাবিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দেশ মাইক্রোনেশিয়ার পিকেলট দ্বীপের আশপাশে মাছ ধরার পরিকল্পনা করেছিলেন। গত ৩১ মার্চ যাত্রা শুরু করেন তারা। কিন্তু একপর্যায়ে তাদের নৌকার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। কোনোমতে ভাসতে ভাসতে দ্বীপে পৌঁছান ওই তিন নাবিক। তাদের কাছে থাকা রেডিওর ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, বিপদের কথা কাউকে জানানোর সুযোগ পাননি।
আরও পড়ুন>
- প্লেন চালাতে চালাতে মাঝ আকাশেই আধা ঘণ্টা ঘুম, বহিষ্কার ২ পাইলট
- চালক ছাড়াই ৭০ কিলোমিটার চললো ট্রেন!
- মাঝনদীতে প্রি-ওয়েডিং ফটোশুট, একটু হলেই প্রাণ যাচ্ছিল যুগলের
সাগরের মাঝে ছোট্ট নির্জন দ্বীপে আটকা পড়েন তিনজন। মাত্র ৩১ একরের ওই দ্বীপে কোনো জনবসতি নেই। কিন্তু প্রচুর গাছপালা রয়েছে। তাই বুদ্ধি করে, পাম গাছের বড় বড় পাতা জড়ো করে ইংরেজিতে ‘হেল্প’ শব্দটি লিখে রাখেন সাদা বালির সৈকতে।
ওদিকে, সময়মতো বাড়ি না ফেরায় উদ্ধারকারী বাহিনীকে খবর দেন নাবিকদের স্বজনেরা। অবশেষে ৬ এপ্রিল শুরু হয় তাদের অনুসন্ধান।
মাইক্রোনেশিয়া দেশটি প্রায় ৬০০ ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। তার ওপর, ওই তিনজন যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেখান থেকে পিকেলট দ্বীপটি প্রায় ১০০ মাইল দূরে।
তবে কপাল ভালোই বলতে হয়। অভিযান শুরুর একদিন পরেই দ্বীপের সৈকতে ‘হেল্প’ লেখাটি নজরে পড়ে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি অনুসন্ধানকারী প্লেনের। সেসময় প্লেন থেকে খাবারসহ জরুরি জিনিসপত্র ফেলা হয়। আর খবর পাঠানো হয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
অবশেষে, গত ৯ এপ্রিল নির্জন দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই তিন নাবিককে। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/