কলকাতায় শপিংমলে ভয়াবহ আগুন

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি কলকাতা
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে কলকাতার অ্যাক্রপলিস শপিংমলে বিধ্বংসী ওই আগুন লাগে। তবে এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, অ্যাক্রপলিস শপিংমলের চার তলায় ‘ফুড কোর্টে’র সঙ্গেই একটা সিনেমা হল রয়েছে। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় অনেকেই হলে ভিড় জমিয়েছিলেন। সেময় হঠাৎ করেই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

আগুন দ্রুতই ওই ফুড কোর্টসহ শপিংমলের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর ১৫টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা।

আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চার তলায় কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ওই অবস্থাতেই আতঙ্কিত লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থাকেন। ধোয়ার কারণে কয়েকজন আবার অসুস্থও হয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, শপিংমলের তিনটি তলাজুড়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে উপস্থিত অনেকেরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেসময় অসুস্থদের পাঁজাকোলা করে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। নামানো হয় বাকিদেরও।

শপিংমলটির চার তলায় ‘ফুড কোর্টে’র সঙ্গেই একটা সিনেমা হল রয়েছে। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় অনেকেই হলে ভিড় জমিয়েছিলেন। কালো ধোঁয়া দেখেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উপস্থিত সকলের মধ্যে।

দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার কারণে মলের সব বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে ভেন্টিলেশন শ্যাফ্টও বন্ধ হয়ে যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো শপিং মল। ধোয়া বের করে দিতে মলের কাচ ভেঙে ফেলেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ধোয়ার পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়তে হয় দমকল বাহিনীর কর্মীদের।

পুলিশ ও দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণেই বলে যায়। ভেতরে আর কেউ আটকে নেই। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হবে। তদন্তে ফরেনসিক দলকেও কাজে লাগানো হবে।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।