হোম অফিসে যেসব নিয়ম মেনে চলতে হয়

বিশেষ কোনো ‘জরুরি’ পরিস্থিতিতে কারো কারো হোম অফিস করার প্রয়োজন হতে পারে। এতে খুব বেশি খুশি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেরই হোম অফিস করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে সবার জন্য কিন্তু হোম অফিস গুরুত্বপূর্ণ না-ও হতে পারে। ফলে সবার ক্ষেত্রে হোম অফিস করার সুযোগ না-ও আসতে পারে।
আমরা জানি, বিভিন্ন জরুরি সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্তদের হোম অফিস করার সুযোগ থাকে না। এর বাইরে যারা একান্তই অফিসে না গিয়ে বাড়িতে বসেও কাজ করতে পারেন; তারাই কেবল হোম অফিসের আওতায় পড়েন। তাই তাদের বাড়িতে বসে কাজ করে অফিসের বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
আসুন জেনে নিই কীভাবে বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করতে পারবেন-
১. প্রথমেই বাড়িতে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
২. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি ফোন এবং একটি কম্পিউটার থাকতে হবে।
৩. অফিসের নির্ধারিত সময়সূচি মেনে চলতে হবে। অফিস টাইম ৯টায় শুরু হলে ঠিক সময়েই কাজ শুরু করতে হবে।
৪. অফিস টাইমের আগেই গোসল ও সকালের নাস্তা সেরে নিতে হবে।
৫. অফিসে যাওয়ার জন্য যেমন প্রস্তুতি লাগে, তেমনই বাড়ি বসে কাজের জন্যও একই রকম প্রস্তুত থাকতে হবে।
৬. অফিসের কাজের মতোই ঠিকঠাক পোশাক পরে কাজ শুরু করতে হবে।
৭. দুপুরের খাবার ও নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা বা ইবাদতের জন্য নির্ধারিত সময় পাবেন।
৮. বাড়িতে বসে কাজ করা মানেই যা খুশি তা করা নয়; অফিস সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
৯. বাসায় শুয়ে শুয়ে নয়, বরং অফিসের মতো চেয়ার-টেবিলে কাজ শুরু করতে হবে।
১০. অফিস টাইমে পরিবারের সদস্যদের থেকে নিজেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করুন।
১১. রিপোর্টিং বসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।
১২. কাজ শুরুর আগে ও শেষে আপনার দায়িত্বশীলের সঙ্গে কথা বলে নিন।
১৩. বাড়িতে বসে কাজের ক্ষেত্রে ভিডিও কল, স্কাইপ, জুমের মতো টুলগুলো কাজে লাগাতে হবে।
১৪. পেশাগত কাজের সময় ব্যক্তিগত কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৫. দূরে বসে দলগতভাবে কাজ করার সব নিয়ম-কানুন মানতে হবে।
১৬. অফিস টাইম ছাড়াও সব সময় অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। যাতে অফিসের নির্দেশনা ফলো করতে পারেন।
১৭. বাড়িতে বসে করা সর্বশেষ কাজের ব্যাকআপ রাখতে পারেন।
১৮. জরুরি যোগাযোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখবেন।
১৯. বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থাও করে রাখা উচিত।
জরুরি অবস্থা চলে গেলে বা শিথিল হলে আগের মতোই অফিসে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে তার আগে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলের অনুমতিক্রমে অফিসে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠুক। কাজের পরিবেশ ফিরে আসুক- এ কামনাই থাকবে সবার।
এসইউ/এমএস