প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
পরীক্ষা মনিটরিংয়ে ২২ জেলায় মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। এ ধাপে খুলনা, রাজশাহী, ময়নমনসিংহ বিভাগের ২২টি জেলা শহরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। ২২ জেলার ৬০৩ কেন্দ্রে কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি।
এদিকে, এ ধাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস, জালিয়াতি, অত্যাধুনিক ডিভাইসের ব্যবহার, প্রক্সি ঠেকাতে ২২ জেলায় মনিটরিংয়ে থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে তারা জেলায় জেলায় পৌঁছে গেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা স্ব-স্ব জেলার সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা এরই মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায় পৌঁছে গেছেন।
এদিকে, এবার পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। গত ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা ছিল। এবার তা আরও ৩০ মিনিট এগিয়ে এনেছে অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি, প্রক্সিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঠেকাতে এবার আরও আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশের পর পরীক্ষকরা যাতে তাদের সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারে, সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোয় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
২০ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। বর্তমানে জেলায় জেলায় তাদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে।
এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস