আশাশুনিতে কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোলা এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে শ্রীউলা ইউনিয়নের ১৬টি ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের ২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১৮টি গ্রাম সম্পূর্ণরুপে পানিতে ভেসে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।
কেউ আশ্রয় নিয়েছে সাইক্লোন সেল্টারে বা কোনো উঁচু স্থানে। টানা ৬ দিন চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার বাঁধটি সংস্কার করতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা। প্লাবিত এসব এলাকার পানি কমলেও বাড়ছে দুর্ভোগ। জেগে উঠতে শুরু করেছে পানির নিচে থাকা রাস্তাঘাট।
এর আগে ১৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে বাঁধটির প্রায় ৫০ হাত এলাকাজুড়ে ভেঙে যায়। ভেসে গেছে ২৪টি গ্রামের মৎস্য ঘের, ফসলের ক্ষেত।
শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জাগো নিউজকে জানান, পানি কমতে শুরু করেছে কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামের এ পর্যন্ত দুই হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। পানি সরে যাওয়া মাত্রই কাঁচা বাড়িগুলো ধসে পড়ছে।
এলাকায় তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুষিত পানি খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে অনেকে। এখনো সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা এসব দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, দুর্দশাগ্রস্থ এসব মানুষের জন্য ১০ টন টিআর ও নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এনজিও সংস্থাগুলোকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, ১০ টন টিআর বরাদ্ধ হলেও সেটি এখনো পাওয়া যায়নি।
আকরামুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি