মমতাজকে লিফটে নিতে আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বাধা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগর নামের এক জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম আসামির সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা আসামির জামিন নামঞ্জুর করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএমএম আদালতের সাততলায় অবস্থিত ১৮ নম্বর কোর্ট থেকে মমতাজকে লিফটে করে হাজতখানায় নিতে যান পুলিশ সদস্যরা। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বাধা দেন। তারা দাবি করেন মমতাজকে হাঁটিয়ে হাজতখানায় নিতে হবে। পরে এ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে মমতাজকে লিফটে করে নিচে নামিয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করান।
এর আগে সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এসময় ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন থেকে বের হয়ে যায়। পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হন তিনি।
এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলার মমতাজ বেগম ৪৯ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
শিল্পী মমতাজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বির্তকিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মানিকগঞ্জ-২ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান মমতাজ।
এমআইএন/এমআইএইচএস/জিকেএস