তাবেলা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-মোটরসাইকেলের মালিকেরাও খালাস পেলেন
প্রায় ১০ বছর আগে রাজধানীর গুলশানে ইতালীয় নাগরিক ও নেদারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চার জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেনের মোটরসাইকেল ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারি সোহেলের অস্ত্র হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতের রায়ের সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার ভুক্তভোগী একজন ইতালীর নাগরিক। সে হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। মামলায় ৭ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন কারাগারে, একজন পলাতক ও ২ জন জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় ৭০ জনের মধ্য ৪২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। চার আসামি ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
- আরও পড়ুন
- ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস
- গরু ও খাসি ‘ওজন ভিত্তিক’ বিক্রি বাধ্যতামূলক করতে লিগ্যাল নোটিশ
আসামি তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থাকা আরেক আসামি শাখাওয়াত হোসেন শরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো হত্যাকাণ্ডের সময় তার মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনা ও পরিকল্পনার সময় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার পলাতক আসামি সোহেলের অস্ত্র হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে। পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে না থাকায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই আসামি কাইয়ূম ও মতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারিনি রাষ্ট্রপক্ষ। তাদেরও খালাস দিয়েছেন আদালত।
এমআইএন/কেএসআর/জিকেএস
