মানবতাবিরোধী অপরাধ
হানিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ সোমবার
জুলাই আন্দোলনকালে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য সোমবার (৬ অক্টোবর) দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, মো. শামীম তালুকদার লাবু ও মো. আবু মুসা।
রোববার (৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
প্রসিকিউশন জানায়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হানিফসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। তাই আন্দোলনকালে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে তা ট্রাইব্যুনালে জমা দেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।
এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি নতুন ফরমাল চার্জ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। এর ওপর শুনানিও হয়েছে। তবে অপরাধ আমলে নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে প্রসিকিউশন। আদালত আগামীকাল (সোমবার) আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফরমাল চার্জে আমরা হানিফের ব্যাপারে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতনের দায়বদ্ধতা) অভিযোগে এনেছি। জুলাই আন্দোলনকারীদের জবাব দেওয়ার জন্য ‘ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ বলা ওই প্রেস কনফারেন্সে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন।’
আরও পড়ুন
চিফ প্রসিকিউটর: দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে
হত্যা মামলায় হানিফ-হেনরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
ক্ষমতায় টিকে থাকতে জঙ্গি নাটক ও পাতানো নির্বাচন করেন শেখ হাসিনা
চিফ প্রসিকিউটর জানান, গত বছরের ২৯ জুলাই কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বৈঠকের মাধ্যমে আন্দোলন দমনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন হানিফ। এছাড়া শহরে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিন নম্বর অভিযোগটি আনা হয়েছে। এ তিনটি অভিযোগ প্রমাণের জন্য সাফিশিয়েন্ট মেটেরিয়ালসহ (পর্যাপ্ত উপাদান) প্রমাণাদি দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। এসব পর্যালোচনা শেষে আগামীকাল সোমবার আমলে নেওয়ার আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।’
আসামিদের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর প্রথম সুযোগেই তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যখনই তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে, তখনই আদালতে উপস্থিত করা হবে। তারা উপস্থিত না থাকলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এফএইচ/একিউএফ/এমএস