শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানি আজ
দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর এ রোগ থেকে রক্ষায় স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আজ (সোমবার)।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি উপস্থাপন করা হবে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রোববার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
এই আইনজীবী জানান, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় যদি শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়, তা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে রিট করা হয়েছে। আর দেশের সীমান্ত এলাকা বিশেষ করে স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দর দিয়ে মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে, তাই এসব বন্দরও বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে দেশের সব বন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না- এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনই বর্তমানে সুস্থ। দুজন বাড়ি ফিরে গেছেন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
এখন পর্যন্ত ১৫৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছে ৩ হাজার ২১৩ জন।
চীনের পর করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৮০৯ জন। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯০।
এরপরেই রয়েছে ইরান। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৮ এবং মৃতের সংখ্যা ৭২৪। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ২৩৬ এবং মৃতের সংখ্যা ৭৫।
স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪৫ এবং মৃতের সংখ্যা ২৯২। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৩ এবং মারা গেছে ১১ জন।
এফএইচ/বিএ/এমএস