আত্মসমর্পণে ২৩ হাজার জামিন, ৬৫৮৮ আবেদন নিষ্পত্তি
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর মার্চের শেষের দিকে সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি শুরুর পর থেকে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়ার সুযোগ ছিল না।
দীর্ঘদিন পর গত ৫ জুলাই থেকে দেশের অধস্তন আদালতগুলোর মধ্যে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করা যাবে সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সেই ঘোষণার পর গত ৫ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে সারাদেশে সিএমএম ও সিজেএম কোর্ট থেকে ২৩ হাজার ৩৯৬ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। এই সময়ে ছয় হাজার ৫৮৮টি আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন নিষ্পত্তিও করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভাগভিত্তিক ঢাকায় চার হাজার ৩৫২ জন, চট্টগ্রামে তিন হাজার ৩২৬ জন, রংপুরে চার হাজার ২৪৬ জন, বরিশালে এক হাজার ৪৬১ জন, রাজশাহীতে তিন হাজার ১০৭ জন, খুলনায় তিন হাজার ৬১ জন, সিলেটে এক হাজার ৮৬৩ ও ময়মনসিংহে এক হাজার ৯৮০ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।’
করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর গত ২৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মার্চ থেকে দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ৯ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত চালুর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আসে এবং ১১ মে শুধু হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়।
তবে এ আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জামিনের সুযোগ ছিল না দীর্ঘদিন। আর সেই জট খুলে গত ৪ জুলাই। ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের এক প্রজ্ঞাপন জারির পর ৫ জুলাই থেকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জামিন চাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম