করোনার অচলাবস্থায়ও মিলেছে আইনি প্রতিকার
করোনাভাইরাস মহামারির বছরে দুই পদ্ধতিতে (ভার্চুয়াল ও ফিজিক্যাল) উচ্চ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। এর মধ্যে অনেক আলোচিত রায় ও আদেশ এসেছে দেশের উচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে। চলমান মহামারিতে সার্বিক স্থিতাবস্থার মধ্যেও জনগণকে আইনি প্রতিকার দিয়ে গেছে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। ফুল কোর্ট সভা করে ভার্চুয়াল আদালত চালানোর বিষয়ে মতামত তুলে ধরেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।
অপরদিকে নির্বাহী বিভাগ ভার্চুয়াল আদালতের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। এরপর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয় বিচারকাজ। পরে সংসদ অধিবেশনে বিষয়টিকে আইনে পরিণত করা হয়। এবারই প্রথম সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল করা হয়। যার কারণও ছিল এই বৈশ্বিক মহামারি।
২০২০ সালে দেশে করোনা মহামারি হানা দেয়ার আগে বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় সবচেয়ে বড় রায়ের অনুলিপি (২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠা) প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এ বছরের ৮ জানুয়ারি এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এ বছরই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জামিন জালিয়াতিসহ বিভিন্ন রায় জালিয়াতির ঘটনাগুলোও ছিল আলোচিত।
এছাড়া দেশব্যাপী আশঙ্কাজনক হারে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এবারই প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অযাচিত পোস্ট এবং মন্তব্যের কারণে দুজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আনা হয় আদালত অবমাননার অভিযোগ।
এদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নিয়ে আপিল রায়ের রিভিউ আবেদন (পুনর্বিবেচনা) দায়েরের পর সেটি নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সর্বোচ্চ আদালতের ছুটি বাতিল
বছরজুড়ে করোনাভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারির আঘাতে পুরো বিশ্বেই ছিল ওলট-পালট অবস্থা। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মহামারির প্রভাব পড়ে সুপ্রিম কোর্টেও। তবে এরই মধ্যে বহু চাঞ্চল্যকর ও জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ২০২০ সালে। সব গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলোচনা ছাপিয়ে এ বছর সুপ্রিম কোর্টে আলোচনার শীর্ষে ছিল প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার বিষয়টি।
একই সঙ্গে এ বছর ৬ আগস্টের পর থেকে সব অবকাশকালীন ছুটি বাতিলও সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে প্রথম। যদিও পরে কিছু ছুটি বহাল করা হয়। করোনা মহামারি শুরু হলে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতেও সেদিন থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ে সর্বোচ্চ আদালতে। সরকারি অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ শুরুর পর অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করা হয়।
১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন সুপ্রিম কোর্ট। সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর ৩০ জুলাই বিচারিক আদালতে ৫ আগস্ট থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালুর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বিচারকাজ শুরু হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টেও ভার্চুয়ালের পাশাপাশি অ্যাকচুয়াল (শারীরিক উপস্থিতিতে) কার্যক্রম চালু হয়।
দীর্ঘতম (২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠা) রায় প্রকাশ
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের সদর দফতর পিলখানাকে রক্তে রঞ্জিত করেন বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যরা। তাদের হাতে প্রাণ দিতে হয় উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। এ ঘটনায় করা মামলায় দুটি ভাগে বিচারকাজ চলছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনে করা মামলার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। হত্যার অভিযোগে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে করা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
পিলখানা হত্যার ঘটনায় ২০০৯ সালের ৪ মার্চ লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবজ্যোতি খীসা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি পরে ৭ এপ্রিল নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। মামলায় ডিএডি তৌহিদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয় প্রায় এক হাজার জওয়ানকে।
তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৮০১ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
এর মধ্যে, হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত রায় দেন। ঢাকার তৎকালীন তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি) বহুল আলোচিত এ মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। বেকসুর খালাস দেয়া হয় ২৭৮ জনকে। এরপর নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির আসামিদের সাজা অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করেন। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও আপিল করা হয়। সব আবেদনের শুনানির পর বিচার শেষে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ে নিম্ন আদালতে ১৫২ জন ফাঁসির আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের আদেশ বহাল, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১২ জনকে খালাস এবং নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্ত ৩৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া নিম্ন আদালত ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিলেও হাইকোর্ট ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি। রায় প্রদানকারী তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশ করা হয়। রায়ের দৈর্ঘ্য এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম রায়। এ রায়ে ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ছাড়াও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৭৯ জনকে খালাস দেয়া হয়।
উচ্চ আদালতে বেপরোয়া জামিন জালিয়াতচক্র
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তথ্য গোপনসহ বিচারিক আদালতের রায় ও আদেশের নথি, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রের তথ্য বানিয়ে ২০২০ সালে একাধিকবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন আবেদনের বেশকিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধরা পড়ে বিচারকদের কাছে।
এসব ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনার পর করা হয় মামলা। পরে কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অন্তত ১০টি এমন জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে নজিরবিহীন জালিয়াতির ঘটনাও ঘটে।
এর মধ্যে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি (রায়ের অনুলিপি) জাল করে ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে সাত বছর, একজন আসামির জায়গায় চারজন ও আসামিকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন নেয়ার চেষ্টা, অস্ত্র মামলায় এজাহার থেকে শুরু করে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার সব নথি জাল ও সৃজন করে একজন আসামির জায়গায় দুজন আসামি, মূল আসামির পরিবর্তে অস্তিত্বহীন আসামি এবং ওয়ান শুটারগানকে চাইনিজ কুড়াল দেখানোর মতো ভয়াবহ জালিয়াতির ঘটনাগুলো ধরা পড়ে।
ফেসবুক পোস্ট ও স্ট্যাটাস দিয়ে বিচারের মুখে দুই আইনজীবী
সৈয়দ মামুন মাহবুব নামে এক আইনজীবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন অভিযোগ তুলে তা আপিল বিভাগের নজরে আনেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত মাহবুবে আলম। আপিল বিভাগ বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে শোকজ করে তলব করেন। পরে সৈয়দ মামুন মাহবুব আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের অবমাননাকর কাজ থেকে বিরত থাকার নিশ্চয়তা দেন। শুনানি শেষে ২৩ আগস্ট তার আদালত অবমাননার মামলা নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
দ্বিতীয় ঘটনা
এর কিছুদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আদালত নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ ওঠে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনেন তৎকালীন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আপিল বিভাগ তা আমলে নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইউনুছ আলীকে তলব করে দুই সপ্তাহের জন্য আইন পেশা থেকে বরখাস্ত করেন। এছাড়া তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক এবং আপত্তিকর স্ট্যাটাস অপসারণ করতে বিটিআরটিসিকে নির্দেশ দেন। পরে ইউনুছ আলী আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে ১২ অক্টোবর আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ইউনুছ আলী আকন্দকে সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা থেকে তিন মাস বিরত থাকার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী এখন তিনি পেশা থেকে বিরত আছেন।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড
চলতি বছর দেশব্যাপী নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দাবির মুখে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ’ জারি করেন। পরে ৮ নভেম্বর নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশটি সংসদে তোলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। একইদিন সেটি বিল আকারে সংসদে পাস হয়।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) উপধারায় বলা ছিল, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।’ বিলে মূল আইনের খসড়ায় ৯ (১) উপধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ
২০০১ সালে ঢাকার সাভারে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আসামির মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার সময় আপিল বিভাগ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে ‘আমৃত্যু কারাবাস’ বলে উল্লেখ করেন। তখন যাবজ্জীবনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা সামনে আসে। এ অবস্থায় আসামিও এ রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করেন। সেই রিভিউ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করে গত ১ ডিসেম্বর রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট তাদের সংক্ষিপ্ত আদেশে যেটা বলছেন (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে), যাবজ্জীবন বলতে বোঝা যাচ্ছে যে সারাজীবনই হবে। আমৃত্যু হবে। তবে বিভিন্ন আইন, ধারা-উপধারা বিশ্লেষণ করে আদালত বলছেন যে এটা (যাবজ্জীবন) ৩০ বছর। ধারাগুলো যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে ৩০ বছর। কিন্তু যদি কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো মামলায় কারো আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সে ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বিধানটি হবে না। আমৃত্যু হবে।’
এফএইচ/এসএস/জেআইএম